যেকোনো চাপ বা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আমারা সবাই চাই শান্ত থাকতে এবং ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে। কিন্তু বাস্তবিকভাবে দেখা যায় যে, আমরা অনেক সময় অনেক বেশী পরিমাণে চিন্তিত, অস্থির ও ধৈর্যহীন হয়ে যাই। আবার অনেক সময় কিছু কিছু চাপ বা স্ট্রেসফুল পরিস্থিতিগুলো এরকম হয় যে আমরা আলাদাভাবে বুঝতেও পারি না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে উদ্বেগ বা অস্থিরতা কাজ করতে থাকে এবং আমাদেরকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে থাকে।
স্ট্রেস ম্যানাজমেন্ট বা চাপ মোকাবেলা বলতে মূলত কিছু কৌশল বা পদ্ধতিকে বোঝায় যেগুলো যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের নিত্যদিনের স্ট্রেস বা চাপের কারণ বা উৎসগুলোকে শনাক্ত করতে পারি এবং কিছু কার্যকরী ও ইতিবাচক কাজ বা আচরণ করে চাপগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতে পারি।
স্ট্রেস ম্যানাজমেন্ট বা চাপ মোকাবেলা করার তিনটি ধাপ আছে। প্রথম ধাপে স্ট্রেসের উৎস বা কারণগুলো শনাক্ত করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে স্ট্রেসের লক্ষণগুলো বা এর শারীরিক বা মানসিক বহিঃপ্রকাশগুলো সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে চাপমূলক পরিস্থিতি থেকে অব্যহতি পাওয়ার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। নিচে প্রতিটি ধাপে কি কি পদ্ধতি বা কৌশল ব্যবহার করা যায় তা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হল।
এই ভিডিওটি স্ট্রেস কমানো এবং রিলাক্স করার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হতে পারে -
যদিও স্ট্রেসকে আপাত দৃষ্টিতে খুব সাধারণ বিষয় মনে হয়। কিন্তু সবসময় এটি খুব সাধারন নয়। যদি ব্যক্তি তাঁর স্ট্রেস নিয়ে কাজ না করে তবে অল্প অল্প স্ট্রেস জমা হতে হতে একসময় এটি বড় ধরনের মানসিক অস্থিরতার সৃষ্টি করে। তাই নিজের মনের যত্ম নেয়া এবং স্ট্রেস ম্যানেজ করা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নিজের মনের যত্ন নেয়া এবং স্ট্রেস ম্যানেজ করলে ব্যক্তি আরো বেশি উৎপাদনশীল হতে পারবে। এবং ব্যক্তির "ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স" আরো সুন্দর ভাবে পরিচালিত হবে। তাই নিজের মনের যত্ন নিন এবং সুস্থ থাকুন।