Resources - Moner Jotno

আপনি ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যাচ্ছেন, চুলা জ্বালাচ্ছেন, দিনের অন্যান্য কাজ অনায়াসে করে ফেলছেন। এগুলো আপনাকে তেমন ভাবাচ্ছেনা, কারণ, আপনি জানেন, আপনি এই কাজগুলো পারেন এবং পারবেন। এটাই আত্মবিশ্বাস। যে কোন বিষয়ে নিজের প্রতি যৌক্তিক, ইতিবাচক মনোভাবই আত্মবিশ্বাস এর ধারণা।

আত্মবিশ্বাস থাকলে জীবন পরিচালনা সহজ হয়। আত্মবিশ্বাস অভাব জীবনের পদক্ষেপগুলো কঠিন অনুভূত করায়।

আত্মবিশ্বাস এর ভারসাম্য বজায় রাখতে আমরা কিছু বিষয় দৈনন্দিনভাবে চর্চা করতে পারি:

১/ আত্মবিশ্বাস এর অভাব অনুভূত হলে তার পেছনের কারণ খুঁজে বের করা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া

২/ দক্ষতা ও গুণাবলী আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তাই নিজের দক্ষতা ও গুণাবলী সম্পর্কে জানা জরুরী, সর্বোপরি, নিজেকে জানা জরুরী।

৩/ দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবসম্মত চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ, নিজেকে বা নিজের পরিস্থিতি অন্যদের সাথে তুলনা না করা, নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে নেতিবাচকভাবে না দেখে বরং সেখানে কি পরিবর্তন থাকলে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হতোনা তা ভাবা, অর্থ্যাৎ, অতীত থেকে শেখা।

৪/ ইতিবাচক সম্পর্কের বৃত্ত গড়ে তোলা আমাদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু,

প্রতিবেশী অনেক সম্পর্কের অবদান থাকে যা আমাদের মানসিক শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫/ যে কোন আচরণের পূর্বে তার ফলাফল কি হতে পারে তা ভেবে নেয়া

৬/ সময়ের যথাযথ ব্যবহার করা অর্থ্যাৎ, পরিকল্পনা করা এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা

৭/ প্রতিনিয়ত নিজের ব্যক্তিত্বের উন্নয়নে কাজ করা অর্থ্যাৎ, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, নিজের ভুলত্রুটির দায়িত্ব নেয়া, কারো সম্পর্কে না জেনেই শুধুমাত্র ধারণার ওপর ভিত্তি করে কারো সম্পর্কে কোন অভিমত না দেয়া, ব্যক্তিত্ব পরিমার্জনে অন্যদের মতামত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা এবং নিজের ভেতর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়নে কাজ করা

৮/ যোগাযোগ দক্ষতা বহুগুণে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অর্থ্যাৎ, আমরা যখন কারো সাথে যোগাযোগ করব তখন আমরা নিজেদের এবং অন্যদের দুই পক্ষের অধিকার নিশ্চিত যেন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা, সহমর্মিতামূলক যোগাযোগ ইতিবাচক সম্পর্কের বৃত্ত গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

৯/ হাল না ছাড়ার মনোবৃত্তি আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

১০/ নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া

১১/ নিজের প্রচেষ্টা এবং সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দেয়া

১২/ ভুল হলে নিজেকে দোষারোপ না করে নিজের ইতিবাচক আত্মসমালোচনা করা

১৩/ অতীত এবং ভবিষ্যৎ এর কথা প্রয়োজনের অতিরিক্ত না ভেবে  বর্তমানে মনোযোগী হওয়া

১৪/ বিভিন্ন ধরণের রিল্যাগজেশন চর্চা করা যা মনকে শান্ত থাকতে  সাহায্য করে এবং মন শান্ত থাকলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়

১৫/ আত্মবিশ্বাস ব্যক্তিবর্গ এর জীবনী অনুসরণ করা

১৬/ ব্যর্থতাকে সুযোগ হিসেবে দেখা

১৭/ আবেগ পরিচালনায় নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা

১৮/ যখনকার কাজ তখন করে ফেলা

১৯/ প্রতিদিন নিজের জন্য সময় রাখা, আজ কি অর্জন হল তা মনে করা এবং পরের দিনের পরিকল্পনা করে ফেলা

২০/ কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে, নিজের  দক্ষতাগুলোকে আবিষ্কার করা  আত্মবিশ্বাস সবসময় বংশগত নয়, এটি একটি জীবনদক্ষতা। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে এই বিষয়গুলোর দৈনন্দিন চর্চা নিজের প্রতি বিশ্বাসকে স্থায়ী হতে সাহায্য করবে। এছাড়াও প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের

সহযোগিতা নিয়ে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য:

বাংলাদেশে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, এক পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জটিলতা। নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাবার পরে যেমন এক ধরনের অভিযোজনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তেমনি নিজ দেশে ফেরত আসার পরে ব্যক্তিকে আবার ও সমাজ এবং পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেবার বিষয়টি সামনে চলে আসে। এই অভিযোজন প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান হয় না। নানান কারনে একজন বিদেশ ফেরত অভিবাসী বিভিন্ন ধরনের মানসিক অসবিধার সম্মখীন হয়ে থাকেন।

বিদেশ গমনের পর্বের মানসিক  অবস্থা :

বিদেশ গমনের পর্বেই একজন ব্যক্তি বেশ কিছ বিষয়ের কারনে উদ্বিগ্ন হতে পারেন যেমনঃ

  • পরিবার ছাড়া একা নতন পরিবেশ
  • ভাষাগত অসবিধা
  • অর্থনৈতিক অসবিধা
  • সামাজিক বাধা এবং অন্যান্য।

আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার এক সাম্প্রতিক গবেশনায় দেখা গেছে, ৪৫% বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী বিদেশ গমনের পর্বেই এ ধরনের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যান যা, তাদের দেশে ফেরার পর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝকি বদ্ধি করে।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপঃ

অধিক কর্মঘন্টা, স্বল্প বেতন এবং প্রতিকল কর্মক্ষেত্র একজন অভিবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য ঝকি বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর গবেষনায় দেখা গেছে ৪২% বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী কর্মক্ষেত্রে চাপ অনভব করেন যা বিষন্নতা,
উদ্বিগ্নতাসহ অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অসবিধা তৈরির কারন হিসাবে কাজ করে।

একাকীত্ব:

পরিবার, পরিজন, বন্ধ কাছের মানষ এবং পরিচিত মখ থেকে দরে থাকা একজন অভিবাসী কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য ঝকি বহুগুনে বদ্ধি করে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এ্যান্ড কমিউনিকেশন এর এক সমীক্ষায় দেখা যায় ৪৮% বাংলাদেশী
অভিবাসী কর্মী বিদেশে যারা অসহায়, একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্ন অনভব করেন।

মানসিক আঘাত/ট্রমা:

কোন কোন ক্ষেত্রে অভিবাসন প্রক্রিয়া অভিবাসন কর্মীর ক্ষেত্রে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার হতে পারে এবং মানসিক আঘাত যদি তীব্র হয় তা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক জটিলতার তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রটিং এজেন্সীস এর এক সমীক্ষা অনযায়ী ২৬% বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী তীর্ব মানসিক আঘাত প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন। যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে মানসিক জটিলতার ঝকি তৈরি করছে।

অর্থনৈতিক সংকটঃ

অর্থনৈতিক সংকট ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফেরা, ঋনের বোঝা, কাজের অভাব সব মিলিয়ে এ অসবিধা মানসিক স্বাস্থ্য কে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশ হেলথ এ্যান্ড ওয়েলবিয়িং সার্ভে এর এক জরীপে দেখা গেছে ৬০% বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী আর্থিক দৈন্যতার ভেতর
দিয়ে যাচ্ছেন যা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির পেছনে বড় কারন হিসাবে কাজ করে।

পারিপাশ্বিক সহযোগিতার আওতাঃ

দেশে ফিরে নিজের সমাজে অভিযোজনের ক্ষেত্রেও অভিবাসী কর্মী অসবিধার সম্মখীন হয়ে থাকেন। নিজ সমাজ ও সম্প্রদায় অনেক কারনেই বিদেশ ফেরত অভিবাসীকে পনরায় অভিযোজিত হবার ক্ষেত্রে অসহযোগী মনোভাব প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ মিনিষ্ট্রি
অব এক্সপ্যাট্রিয়েটীস ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এর এক রিপোর্টে দেখা গেছে ৪৫% বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী নিজ সমাজ ও সম্প্রদায়ে পনরেকত্রীকরন প্রক্রিয়ার উদ্বেগ ও বিহ্বল অনভব করেন যা বিষন্নতা ও উদ্বেগ এর মত মানসিক অসবিধা তৈরি করেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এ্যান্ড কমিউনিকেশন এর এক জরীপে দেখা গেছে ৪৮% ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী তাদেও নিজ সমাজে অবহেলিত এবং অবজ্ঞার শিকার যা তাদেও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং ত্রুটিপর্ন মানসিক স্বাস্থ্যেও কারন।


এ সকল চ্যালেঞ্জ নিরসওে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য সেবার পরিধি বাড়ানো। বিদেশ ফেরত কর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যদেও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান , মানসিক স্বাস্থ্য ও গুরুত্ব তলে ধওে সচেতনতা বদ্ধি। ক্রমবর্ধমান মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কওে যাচ্ছে।

করোনা আসলে আমাদের জীবন টার একটা মারাত্মক ছন্দ পতন ঘটিয়েছে!

মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই জীবনে বাক নেয়া পছন্দ করে নাহ! গবেষণায় দেখা গেছে এখনো মানুষ করোনার সময়ে গড়ে ওঠা অভ্যাস, সেই পরিবর্তন কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে! বড়দের তো সমস্যা হচ্ছেই শিশুরাও তার ব্যতিক্রম নয়!

আমরা ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করি শিশুদের একটা নিয়ম কানুন এর মধ্যে বড় করতে! আর তার শুরু টাই হয় স্কুলিং দিয়ে! করোনার সেই দীর্ঘ সময় টাতে সেই নিয়ম শৃংখলা যেনো অন্যদিকে মোড় নিয়েছে! যা সাড়িয়ে উঠতে এখন শিশুদের সাথে তাদের বাবা-মা ও কষ্ট করছেন!

সেই সময় টাতে শিশুদের দিনের একটা বড় সময় কেটে গেছে ডিভাইসের মধ্য দিয়ে! অনলাইন ক্লাসের জন্য আসলে ডিভাইসের কোনো বিকল্প ছিলো না! সেই যে মোবাইল ফোন, ট্যাবের প্রতি একটা আসক্তি তা এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয় নি!

যার ফলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন জীবন সহ পড়ালেখা সব ই ব্যাহত হচ্ছে!

এই ডিভাইস আসক্তি কিভাবে গঠনমূলক উপায়ে কমানো যায় তা জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পোস্টে!

 

পার্ট-২

কথা হচ্ছিলো কিভাবে আসলে ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনা যায় তা নিয়ে। দীর্ঘদিনের স্বভাব বদলানো কিন্তু সহজ না। সেক্ষেত্রে একেবারে যদি আপনি ডিভাইস সরিয়ে নেবার চেষ্টা করেন সেটাও কাজ করবে না। দেখা যেতে পারে আপনি মোবাইল না দিলে বাচ্চা এগ্রেসিভ বিহেভিয়ার করছে। হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছে, কান্না-কাটি করা ইত্যাদি। অনেকেই এমন সিচুয়েশেনে খুব বিরক্ত হয়ে বাচ্চার গায়ে হাত তুলেন। সেটা একদম ই সঠিক সমাধান না।

গঠনমূলক উপায়ে বাচ্চার স্ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনতে হবে। কি করা যায় তাহলে?

  ১। সময় ভাগ করে দিন। বলতে পারেন, তুমি যদি ২ ঘন্টা পড়ো তাহলে এরপরে মোবাইল পাবা। এতে পড়াশোনাও হলো আবার তার ইচ্ছাটাও পূরণ হলো।

২। তাকে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন নাহ। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল দেয়ার কথা থাকলে সেটাই করবেন। তাহলে তার নির্দিষ্ট বিহেভিয়ার বাড়ার সম্ভাবনা হবে। না হলে বাচ্চা আর কখনো আপনাকে বিশ্বাস করবে নাহ।

৩। তাকে ধমক না দিয়ে, গায়ে হাত না তুলে তার সাথে ফ্রেন্ডলি ওয়েতে কথা বলুন। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়দের সাথে তাদের মত করে কথা বলতে হবে। জানতে হবে তারা ফোনের মধ্যে কি পাচ্ছে যা হয়তো আপনি দিতে পারছেন না।

৪। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় তার সাথে কাটান। হতে পারে সেটা খাবারের টেবিলে। খেতে খেতে জেনে নিন, তার স্কুল-কলেজের কথা। ফ্রেন্ডদের কথা। তার পছন্দের সময়ের কথা অথবা মজার কোনো জিনিস যা আজকে হয়েছে।

৫। সপ্তাহে একদিন সবাই মিলে ঘুরতে যেতে পারেন।

সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিলে অনেকাংশেই স্ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনা সম্ভব। সব সময় বাবা-মা এর জায়গা থেকে না বন্ধুর যায়গা থেকেও সন্তান লালন-পালন করা যায়। সন্তানের একটা নিজস্ব পৃথিবী আছে। সেই ছোট্ট দুনিয়াতে নিজেকে তার সব থেকে কাছের মানুষ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। তবেই আপনার সন্তান সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে।

একজন সন্তান জন্মদানের পর বাবা-মা যেভাবে তার বাচ্চা কে বড় করে তুলেন তাকে বলা হয় প্যারেন্টিং। আর এই পেরেন্টিং এর কিন্তু বিভিন্ন ধরনের স্টাইল আছে যা ফলো করে বাবা-মা রা। শুনে থাকবেন সব সময় মানুষ বলে যে বাবা -মায়ের মধ্যে একজন কে নরম হতে হয় আর একজন কে শক্ত হতে হয়। দুই জন ই যদি শক্ত আচরন করে বাচ্চার সাথে তাহলে সেটা বাচ্চার জন্য কষ্টকর। এটাও এক ধরনের স্টাইল।

প্যারেন্টিং এর অনেক গুলো ধরন আছে। যেমনঃ

 

১। অথোরিটিরিয়ান প্যারেন্টিংঃ  আমি যা বলেছি আমার বাচ্চা তাই করবে। আমি এখন বলেছি খেলা যাবে না বই নিয়ে বসতে হবে তার মানে তাই ই করতে হবে। মোট কথা, আমার কথা মত চলতে হবে।

২। অথোরিটেটিভ প্যারেন্টিংঃ  আমি আমার বাচ্চা কে বলেছি খেলা বন্ধ করে দিতে কিন্ত সে বলছে আর ৫ মিনিট। আমি বললাম ঠিক আছে ৫ মিনিট পর পড়তে বসতে। তার মানে হলো আমি রুলস তৈরি করে দিলাম আবার এক ই সাথে আমার বাচ্চার ইমোশন টাও খেয়াল করলাম।

৩। ওভার-প্রোটেকটিভ প্যারেন্টিংঃ  আমার বাচ্চা ক্লাস ১০ এ পড়ে কিন্তু এখনো নিজের হাত দিয়ে ভাত খেতে পারে না, আমি খাওয়ায় দেই। আমার বাচ্চা কখনো নিজের কাপড় ভাঁজ করতে পারে না। আমি ই করে দেই। রাতে একা ঘুমাতে পারে না, আমি ই নিয়ে ঘুমাই। আমার তো একটাই বাচ্চা একটু বেশি আদর করি আর কি। তার মানে যে বয়সে তার যে কাজ করার কথা সেটা সে পারে না, আপনি তাকে করতে দিচ্ছেন না, আদরের নাম করে আপনি তাকে সাবলম্বী হতে দিচ্ছেন না।

৪। আন-ইনভল্ভ প্যারেন্টিংঃ বাচ্চাকে বাচ্চার মত ছেড়ে দিছি, যা ইচ্ছা করুক। সময় মতো সব কিছু শিখে নিবে। আপনি তার ইমোশোনাল নিড এর ব্যাপারে খোঁজ নেন না। তার কি প্রয়োজন তার হয়তো খোঁজ নিচ্ছেন না ।

একেকটা  স্টাইলের বাচ্চার মানসিক অবস্থার উপর একেক  রকম প্রভাব পরে।  এবার ভেবে দেখেন আপনি কোনটা আপনার সন্তানের জন্য ফলো করেন এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না।

বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বেশ সাড়া ফেলেছে। নরসিংদীতে গত বছর আমরা দেখেছিলাম যে কিছু মানুষ একজন মেয়েকে তার পোশাক এর জন্য নির্যাতন করেছিলো।  

এই যে মেয়েরা খোলামেলা পোশাক পড়বে না এই চিন্তা থেকে অন্য একজনের উপর চড়াও হওয়া এবং তার উপর নিজস্ব চিন্তা ভাবনা চাপায় দেয়ার নাম ই “মোরাল পুলিশিং”।

“মেয়েরা ঘরেই থাকবে, তাদের বাইরে চাকরি করতে দেয়া যাবে না, ছেলে মানুষের সব সময় দায়িত্ব নিতে হবে, ছেলেরা কাঁদতে পারবে না, মেয়ে মানুষ স্মোক করতে পারবে না, মেয়েরা বেশি শিক্ষিত হলেই সংসার করতে চাইবে না, তাই তাদের জলদি বিয়ে দিয়ে দিতে হবে, বিয়ের সাথে সাথে বাচ্চা নিয়ে নিতে হবে নয়তো জামাইকে হাত করে রাখা যাবে না, সম সময় হাজবেন্ড কে সন্তুষ্ট রাখতে হবে না হলে তার মন পাওয়া যাবে না”

এছাড়াও আরো অনেক চিন্তা ভাবনা আছে যা আমাদের সমাজে প্রচলিত এবং আমরা কিন্তু যুগের পর যুগ এইসব এ শুনে আসছি আবার মেনেও যাচ্ছি। যেই এই প্রচলিত প্রথার বাইরে যায় অথবা অন্যথা হয় তখন ই কিন্তু শুরু হয় মোরাল পুলিশিং যাকে আমরা বলি জাজমেন্টাল হয়ে যাওয়া।

জাজমেন্টাল হওয়া আর মোরাল পুলিশিং কিন্তু এক না। আপনি হয়তো এক্সট্রা ম্যারিটিয়াল এফেয়ারে জড়িয়ে পড়েছেন এটা শুনে আপনার ফ্রেন্ড বললো যে কাজ টা ঠিক না, পরে অনেক ঝামেলা হবে, যারা এইসব করে তারা আসলে ভালো মানুষ না......এটা হচ্ছে জাজ করা আর অন্য একটা ফ্রেন্ড বললো, তুই এটা খুব ই খারাপ করছিস, নষ্ট হয়ে গেছিস, তোকে এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, এরপর এটা করবি, সেটা করবি না হলে সংসার টিকবে না, বেশি পড়ালেখা করে তোর মাথাটাই নষ্ট হয়ে গেছে, নিজেকে সামলায় নে ইত্যাদি .........এটা হচ্ছে মোরাল পুলিশিং।

যারা এই ধরনের মোরাল পুলিশিং এর স্বীকার হয়ে থাকেন তাদের মধ্যে কিন্তু নিজেকে নিয়ে অনেক নেগেটিভ চিন্তা আসতে থাকে, আর অনেক সময় কেউ চাইলেও নিজের মনের কথা এই ধরনের ভয়ে আর কাউকে খুলে বলতে পারেন না। ফলে মানসিক যন্ত্রনা টা রয়েই যায়।

Taking care of your mental health is important at all times, but there are certain situations and signs that indicate you should pay closer attention to your mental well-being. Here are some common indicators that you should be concerned about your mental health:

 

  1. Persistent and overwhelming feelings: If you frequently experience intense sadness, anxiety, anger, or other negative emotions that interfere with your daily life and persist for an extended period, it's important to seek support.

 

  1. Changes in sleep patterns: Significant changes in your sleep habits, such as insomnia or excessive sleepiness, can be a sign of mental health issues. Sleep disturbances can both be a symptom and a cause of mental health problems.

 

  1. Loss of interest or enjoyment: If you find yourself losing interest in activities you once enjoyed, struggling to feel pleasure, or lacking motivation, it may indicate a potential mental health concern.

 

  1. Social withdrawal and isolation: If you start avoiding social interactions, isolating yourself from friends and family, or experiencing difficulties in connecting with others, it could be a sign of underlying mental health issues.

 

  1. Decreased productivity and concentration: If you're consistently finding it difficult to focus, make decisions, or complete tasks, and it's affecting your work or studies, it may be indicative of a mental health problem.

 

  1. Significant changes in appetite or weight: Rapid and unexplained weight loss or gain, as well as changes in appetite or eating patterns, can be associated with mental health conditions like depression or eating disorders.

 

  1. Thoughts of self-harm or suicide: If you're having persistent thoughts of self-harm, suicide, or a desire to escape, it's crucial to seek immediate help from a mental health professional or a helpline.

 

  1. Substance abuse or excessive reliance on unhealthy coping mechanisms: Turning to drugs, alcohol, or other harmful behaviors as a way to cope with emotional distress is a warning sign that your mental health may be compromised.

 

  1. Physical symptoms without medical cause: Unexplained physical complaints such as headaches, stomachaches, fatigue, or unexplained aches and pains that persist despite medical evaluation could be manifestations of underlying mental health issues.

 

  1. Interference with daily functioning: When your mental health starts affecting your ability to fulfill your responsibilities, maintain relationships, or enjoy life, it's time to take your mental well-being seriously.

 

Remember that everyone's mental health needs are unique, and these signs are not exhaustive. If you're uncertain or concerned about your mental health, it's always advisable to seek guidance from a mental health professional who can provide a comprehensive evaluation and offer appropriate support.

Climate change is a global challenge which is likely to affect mankind in substantial ways. Not only climate change is expected to affect physical health, it is also likely to affect mental health.

Notable direct climate-related hazards that affect mental health include: extreme heat, extreme weather events, and morbidity associated with vector-born disease (VBD). Extreme heat has been shown to increase mood and behavioral disorders amongst people with pre-existing mental illness and the elderly who have poor thermoregulation (Page et.al, 2012). Extreme weather events, like flooding, hurricanes, and wildfires have been linked to depression, anxiety, post-traumatic stress disorder (PTSD), suicidal ideation, substance abuse, vicarious trauma, loss of identity and a loss of a sense of place, relationship strain, and helplessness (Dodgen, 2016). Vector-borne diseases like West Nile Virus and Lyme disease may compound mental health issues for people with preexisting mental health illness by contributing to cognitive, neurological, and mental health problems (Dodgen, 2016).

In many areas, climate change is predicted to have an impact on mental health. There are numerous mediators via which droughts, floods, rising sea levels, rising ambient temperatures, and other effects of climate change can cause growing psychological discomfort. These mediators include, among others, traumatic events, social capital decline, economic stress, and stress related to migration and acculturation. In the near future, efforts to broaden access to mental health treatments and gradual climate change mitigation would be effective answers to the problem of climate change.

According to Kreft et. Al (2016) Bangladesh has been ranked 6th  worst extreme weather affected country. Bangladesh suffers from cyclones, floods, strong surges and droughts. Many people get affected due to natural hazards every year. Some of them get displaced, lose their valuable family members, suffer from diseases and some become homeless after losing everything in the natural disaster. More than 4.3 million people are impacted by the sudden flash flood and water congestion that occurred in Sylhet, 2022. Many households are isolated due to floods, while some have taken shelter in open areas. The safety and security of women and girls in those households are at high risk. As of 20 June, a total of 2492 cases of diseases and injuries have been recorded by DGHS (WHO, 2022).

 

মনোবিজ্ঞানে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে লোকেরা প্রায়শই তাদের সামাজিক বৃত্তে অন্যদের সাথে কীভাবে তুলনা করে তার উপর ভিত্তি করে তাদের নিজস্ব মূল্য নির্ধারণ করে। সামাজিক তুলনা তত্ত্ব হিসাবে পরিচিত এই ধারণাটি পরামর্শ দেয় যে লোকেরা ক্রমাগত আকর্ষণীয়তা, সম্পদ, বুদ্ধিমত্তা এবং সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে এবং অন্যদের মূল্যায়ন করে।

যাইহোক, অত্যধিক নেতিবাচক সামাজিক তুলনা একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে, বিশেষ করে যখন লোকেরা তাদের সমবয়সীদের থেকে নিকৃষ্ট হিসাবে দেখে। প্রায় যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রে, এই সমস্যাটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জটিল হয়ে উঠেছে।

গবেষণা দেখায় যে ব্যক্তিরা প্রায়শই সামাজিক তুলনা করে তাদের হিংসা, অনুশোচনা, অপরাধবোধ এবং আত্মরক্ষার অভিজ্ঞতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং মিথ্যা বলা, অন্যকে দোষ দেওয়া বা অপূর্ণ ইচ্ছা থাকার মতো আচরণে জড়িত থাকে। সামগ্রিকভাবে, যারা অনেক নেতিবাচক সামাজিক তুলনা করে তারা অসুখী হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মাত্র কয়েক মিনিট কাটানোর পরে লোকেরা প্রায়শই তাদের নিজের জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়। কিছু গবেষণা এমনকি দেখিয়েছে যে ফেসবুক হতাশা এবং একাকীত্বের অনুভূতিতে অবদান রাখতে পারে, বিশেষত অল্পবয়সী লোকেদের মধ্যে যারা সামাজিক তুলনার জন্য বেশি সংবেদনশীল।

সোশ্যাল মিডিয়ার একটি সমস্যা হল যে লোকেরা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তাদের জীবনের ইতিবাচক অংশগুলি ভাগ করে নেয়। সামাজিক তুলনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কেন? কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক মনস্তাত্ত্বিক অভ্যাস যা আমাদের নিজস্ব মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করে।

যাইহোক, ইতিবাচক এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব কমিয়ে আনতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে কোনো কাজের আগে মানুষের যদি মাঝামাঝি রকমের ভয় বা এনক্সাইটি হয় তাহলে পারফরম্যান্স ভালো হয়। কিন্তু যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে পারফরম্যান্স খারাপ হয় ।

 

পরীক্ষা নিয়ে ভয় পাওয়া অথবা এঞ্জাইটিতে ভুগা খুব ই নরমাল একটা ব্যাপার। কিন্তু সেই ভয় যদি আপনাকে কাবু করে ফেলে, অসুস্থ করে ফেলে তাহলে সেটা চিন্তার বিষয়।

 

“পরীক্ষায় কি প্রশ্ন আসবে ? আমি পারবো কি না, আমি খারাপ করলে সবাই কি ভাব্বে, আমি কাজ টা ঠিক ভাবে করতে পারবো তো? বাবা-মায়ের অনেক আশা-ভরসা আমার উপর, সবার মান-সম্মান নষ্ট হবে।”

 

এই যে প্রশ্নগুলো একটার পর একটা নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দেয় মনের ভিতর। যা ব্যক্তিকে অস্থির করে তুলে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শুধু মাত্র পরীক্ষাই না, যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই এই রকম পারফরম্যান্স এঞ্জাইটি হতে পারে। অফিসে বসের দেয়া কোনো কাজ, প্রেজেন্টেশন এইসব ক্ষেত্রেই এই ধরনের এঞ্জাইটি দেখা যেতে পারে।

 

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল ফ্যামিলিতে বাবা-মা যদি বাচ্চার কাছ থেকে অনেক বেশি এক্সপেকটেশন রাখেন তখন বাচ্চার মধ্যে এই ধরনের এঞ্জাইটি তৈরি হয় যা পরবর্তীতে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই এই এঞ্জাইটি দেখা যায়।

 

এঞ্জাইটি দূর করার জন্য ব্রিদিং রিল্যাক্সাশন ভালো কাজ করে। নিজের নেতিবাচক চিন্তা গুলো নিয়ে কাজ করতে খুব দ্রুতই এই এঞ্জাইটি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

 

সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ পাবার জন্য সাইকোথেরাপি এবং মেডিকেশন বেশ ভালো কাজ করে।

লাইফ ট্রাঞ্জিশনের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ  ট্রাঞ্জিশন হলো বাবা-মা এর রোলে যাওয়া।জীবনে আমরা একেক সময় একেক রোল পালন করে থাকি। আর একটা সন্তান পৃথিবীতে আনার সাথে সাথে আমাদের নতুন একটা রোল শুরু হয়। আমরা ভুলে যাই যে শুধু সন্তানের ই জন্ম হয় না সে সময়। নতুন করে জন্ম হয় একজন বাবা এবং একজন মায়ের।

 

একজন বাচ্চা হবার সাথে সাথে সবাই হুমরি খেয়ে বাচ্চার যত্ন নেয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে যায়। খেয়াল করে দেখবেন, হসপিটালে যখন একজন বাবু হলো দেখতে গেলে কিন্তু সবাই বাচ্চার জন্যই গিফট নেয়ার কথা আগে ভাবেন। যে মানুষটা এত্ত কিছু সামাল দিয়ে এই নতুন জীবন টা এই দুনিয়ায় আনলো সেই মানুষ টার খবর নিতেই কিন্ত আমরা ভুলে যাই। আমরা ধরে নেই, সে তো “মা”, তার পক্ষে সব ই সম্ভব। সে তো জানেই তার  মা হলে এত কিছু করতে হবে, সে তো জানেই যে মা হলে রাত জেগে থাকতে হবে, সময় মত সে খেতে পারবে না, মা হলে ব্যাথা হওয়া যাবে না, শুয়ে থাকা যাবে না। মা মানেই যেনো সে আর এখন মানুষ নাই। সব কিছুর ঊরধে তার অবস্থান।

 

মনে রাখা জরুরি, সে আগে একজন মানুষ এরপর একজন মা। মা হওয়াটা তার একটা রোল যার হয়তো দায়িত্ব একটু বেশি অন্যান্য রোল থেকে। আট দশ টা স্বাভাবিক মানুষের মত তার শরীর খারাপ করবে, তার রাতে ঘুম আসবে সে হয়তো কোনো দিন খাবারে লবন দিতে ভুলে যাবে। এই সময় টাও তার আরো বেশি যত্ন নেয়া উচিত, তাকে পূর্ণ বিশ্রাম এর সুযোগ করে দেয়া উচিত।

 

                         মা যদি ভালো থাকে তাহলে বাচ্চাও ভালো থাকবে।

আপনি ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যাচ্ছেন, চুলা জ্বালাচ্ছেন, দিনের অন্যান্য কাজ অনায়াসে করে ফেলছেন। এ...

বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য:

বাংলাদেশে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, এ...

করোনা আসলে আমাদের জীবন টার একটা মারাত্মক ছন্দ পতন ঘটিয়েছে!

মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই জীবনে বা...


একজন সন্তান জন্মদানের পর বাবা-মা যেভাবে তার বাচ্চা কে বড় করে তুলেন তাকে বলা হয় প্যারেন্টিং। আর এই পেরেন্টিং এর কিন্তু বিভিন্ন ধরনের স্টাইল আছে যা ফ...

বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বেশ সাড়া ফেলেছে। নরসিংদীতে গত বছর আমরা দেখেছিলাম যে কিছু মানুষ একজন মেয়েকে তার পোশাক এর জন্য নির্যাতন করেছি...

Taking care of your mental health is important at all times, but there are certain situations and signs that indicate you should pay closer attenti...

Climate change is a global challenge which is likely to affect mankind in substantial ways. Not only climate change is expected to affect physical ...

মনোবিজ্ঞানে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে লোকেরা প্রায়শই তাদের সামাজিক বৃত্তে অন্যদের সাথে কীভাবে তুলনা করে তার উপর ভিত্তি করে তাদের নিজস্ব মূল্য নির্ধা...

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে কোনো কাজের আগে মানুষের যদি মাঝামাঝি রকমের ভয় বা এনক্সাইটি হয় তাহলে পারফরম্যান্স ভালো হয়। কিন্তু যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে...

লাইফ ট্রাঞ্জিশনের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ  ট্রাঞ্জিশন হলো বাবা-মা এর রোলে যাওয়া।জীবনে আমরা একেক সময় একেক রোল পালন করে থাকি। আর এ...

কনভার্সন ডিসঅর্ডার হল এক ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গে ভুগছেন কিন্তু এর কারণ সম্পূর্ণ মানসিক।

&...

শারিরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ছোট পরিবার এবং যান্ত্রিকতার যুগে এই সমস্যা আরো বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান ...

বর্তমান সময়ে খুব প্রচলিত একটি শব্দ বুলিং। যেটা কিনা হরহামেশাই ঘটছে কর্মক্ষেত্রে অথবা স্কুলে কিংবা পাড়ার প্রতিবেশি, দোকান অথবা খেলার মাঠে। কাউকে জোর...

স্বাভাবিক চিন্তা সবসময় উপকারী এবং প্রয়োজনীয় চিন্তা আপনার সমস্যার সমাধান করতে আপনাকে সাহায্য করে।কিন্তু এই চিন্তা যদি হয় বাড়াবাড়ি ধরনের, অর্থাৎ প্রয়...

মোবাইল ফোন আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি আবার প্রয়োজন ছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যবহার করছি। একটা সময় ছিলো যখন কথা বলা এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠা...

মানুষের প্রতিটি কাজকে যদি বিশ্লেষন করা যায় তাহলে দেখা যাবে আমরা সবকিছু করে থাকি নিজেকে হাসিখুশি রাখার জন্য বা ভালো থাকার জন্য। কাউকে যদি প্রশ্ন করা...

রাগের বর্শবর্তী হয়ে কারো বা নিজের ক্ষতি করে ফেলা বিরত্ব নয়, বরং কঠিন  রাগের সময় নিজেক নিয়ন্ত্রন করতে পারা এবং দমন করতে পারাই বিরত্ব। দুঃখ, ভাল...

সিজোফ্রেনিয়া একটি গুরুত্বর মানসিক ব্যাধি। এটাকে অনেক ক্ষেত্রে মানসিক রোগের ক্যান্সারও বলা হয়ে থাকে। সিফ্রেনিয়া হলে ব্যাক্তির চিন্তা, আচরন ও প্রত্যক...

স্ট্রেস ফ্রি থাকা বনাম স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট দুটো ভিন্ন বিষয়। স্ট্রেস ফ্রি থাকা মানে আপনার কোন চাপ থাকবে না, পড়া থাকবে না, যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবো, ...

যদি এমন কোন শারীরিক লক্ষণ আপনি দেখতে পান, যার আসলেই কোন মেডিক্যালি কারন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে নাহ, তাহলে যা করা যেতে পারে তা হলোঃ

 

...

সুস্থ এবং পরিমিত ঘুম লাভের জন্য একটি বিধি অনুশীলন করা প্রয়োজন। যা যা করতে পারেনঃ

  • আপনার শোবার ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল রাখুন।একটি...

প্রতিদিনের প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের অসংখ্য অজস্র কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে নিজের জন্য একটু আলাদা করে সময় বের করা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যপার। ...

ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এটা যেকোনো প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য খুবই জরুরী এবং আবশ্যিক উপাদান। ঘুমের মাধ্যমে সাধারণত আমাদের মন...

বর্তমান সময় আমাদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো প্রযুক্তি। সারাক্ষন ই চলার পথে আমরা দ্বারস্থ হচ্ছি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের। কিন্তু খুব বেশি নির্ভরতা আমাদের ...

আমরা ভাবি মানসিক সমস্যার প্রকাশ শুধুমাত্র ব্রেইনের মাধ্যমেই হবে। অথবা মন খারাপ থাকবে এমন। কিন্ত আমরা প্র্যায় ই ভুলে যাই যে আমাদের শরীর এবং মন দুইটা...

সেলফ-ইস্টিম যদি কম থাকে তাহলে কোনো কাজ করতে গেলে আত্মবিশ্বাস কাজ করে না। সারাক্ষন নিজের যোগ্যতার উপর সন্দেহ কাজ করে। নতুন করে জীবনে কোন চ্যালেঞ্জ নেয়া...
স্ট্রেস ফ্রি থাকা বনাম স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট দুটো ভিন্ন বিষয়। স্ট্রেস ফ্রি থাকা মানে আপনার কোন চাপ থাকবে না, পড়া থাকবে না, যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবো, যেখ...
জীবনের উপর আমাদের অনেক অভিমান, অনেক ক্ষোভ। এই রাগ অভিমানের ভীরে ঠিক কোন কোন কাজগুলোর জন্য আপনি কাছের মানুষের প্রতি অথবা আশে পাশের যে কারো প্রতি কৃতজ্ঞ...
একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা, বোঝাপড়া এবং সঠিক যোগাযোগ প্রয়োজন। আপনার সঙ্গীর সাথে একটি শক্তিশালী এবং পরিপূর্ণ সংযোগ তৈরি এবং ...
একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা, বোঝাপড়া এবং সঠিক যোগাযোগ প্রয়োজন। আপনার সঙ্গীর সাথে একটি শক্তিশালী এবং পরিপূর্ণ সংযোগ তৈরি এবং ...
সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটিতে বেশ কয়েকটি মূল পদক্ষেপ জড়িত। যেমনঃ
  • সমস্যাটি সংজ্ঞায়িত করুন: সমস্যাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝার মাধ্...

আজকাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেয়া মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। স্ক্রিন আসক্তির কারণে অনেকেরই ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ...

চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

১। এক্সপোজার অ্যান্ড রেসপন্স প্রিভেনশন (ইআরপি) হল কগনিটিভ থেরাপির একটি রূপ যা অবসেসিভ- কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) এ...

১। ব্রিদিং রিল্যাক্সেশনঃ প্যানিক এট্যাকে ব্রিদিং রিলেক্সেশন করলে অনেক হেল্প হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তি যেহেতু খুব দ্রুত নিঃশ্বাস নেন তাই তার শরীরে অ...

Eight most important parenting tips those I believe every parent should consider

1. Express your love and care:
Your ...

১। আপনার স্ট্রেস ট্র্যাক করুন. কোন পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করে এবং আপনি কীভাবে সেগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানান তা সনাক্ত করতে এক বা দুই সপ্ত...

আমাদের পূর্ববর্তী লেখায় আমরা জেনেছিলাম – সেলফ-এস্টিম কি? সুস্থ সেলফ-এস্টিম তৈরি হওয়ার গুরুত্ব ও নিম্ন সেলফ-এস্টিম এর ফলাফল। আরও গুরুত্বপূর্ণ ...

Self-Esteem কি?
Self-esteem কথাটির অর্থ খুজতে গেলে বাংলা শাব্দিক অর্থ হিসেবে যা যা পাওয়া যায় তা হলো - “আত্মসম্মানবোধ&rdqu...

ব্যথা কি?
ব্যথা হল একটি অপ্রীতিকর সংবেদনশীল ও আবেগীয় প্রতিক্রিয়া যা কিনা মাংসপেশির অথবা কলাতন্ত্রের প্রকৃত অথবা সম্ভাব্য ক্ষতির...

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো আবেগ। আবেগ মানুষের সহজাত একটি প্রবৃত্তি। জীবনে সফলতার জন্য আবেগের বিকাশ, সুষ্ঠু প্রকাশ এ...

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু-কিশোরদের মধ্যে দিন দিন মানসিক  নানাবিধ সমস্যার...

Screen Addiction is when screen use becomes so compulsive that it leads to impaired daily functioning in terms of productivity, so...

ভিডিও গেম আসক্তি, যা গেমিং ডিসঅর্ডার বা ইন্টারনেট গেমিং ডিসঅর্ডার হিসাবেও পরিচিত। সাধারণত ভিডিও গেইমের সাথে সরাসরি যুক্ত। গেইম খেলার কারণে যদি কোন ...

Selective mutism is a rare childhood anxiety disorder in which a child is unable to speak in certain situations or to certain people. It is not a f...

What is Asperger's syndrome?
Asperger’s syndrome (also known as Asperger’s Disorder) was first described in t...

What is Psychological First Aid?
Psychological First Aid (PFA) is an evidence-informed modular approac...

What is parapsychology?
Parapsychology is the scientific study of interactions between living organisms and their external e...

Communication disorders affect a person's ability to communicate, causing problems with speech, language, hearing, or all thre...

Crisis intervention
Crisis intervention refers to the methods used to offer immediate, short-term help to individuals who ex...

প্যানিক অ্যাটাক হলো এমন একটি রোগ যার কারণে একজন মানুষ হঠাৎ অতিরিক্ত উদ্বেগ এবং ভয় অনুভব করে। এসময় তার হৃদপিণ্ড থমকে যায় বলে মনে হয় এবং নিঃশ্বাস...

অনেকেই স্বভাবগতভাবে খুঁতখুঁতে প্রকৃতির। খাবার আগে থালাটা একবার পরিস্কার করে সন্তুষ্ট হন না অনেকে, দরজায় তালা লাগিয়ে বার দুয়েক টেনে নিশ্চিত হয়ে নিতে...

কী এই ওথেলো সিনড্রোম?
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অন্যতম ট্র্যাজেডি ‘ওথেলো’ এর মূল চরিত্র ওথেলোর নামানুসারে এ রোগের নাম...

Yes. Childhood depression is different from the normal "blues" and everyday emotions that occur as a child develops. Just because a child...

সিজোফ্রেনিয়া (ইংরেজি: Schizophrenia) একটি মানসিক ব্যাধি; এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চিন্তাধারা এবং অনুভূতির প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি থাকে ...

Sleep paralysis is a feeling of being conscious but unable to move. It occurs when a person passes between stages of wakefulness and sleep. During ...

Trending

আমাদের পূর্ববর্তী লেখায় আমরা জেনেছিলাম – সেলফ-এস্টিম কি? সুস্থ সেলফ-এস্টিম তৈরি হওয়ার গুরুত...

১। ব্রিদিং রিল্যাক্সেশনঃ প্যানিক এট্যাকে ব্রিদিং রিলেক্সেশন করলে অনেক হেল্প হয়। আক্রান্ত ব্যা...

What is Asperger's syndrome?
Asperger’s syndrome (also known as A...

ব্যথা কি?
ব্যথা হল একটি অপ্রীতিকর সংবেদনশীল ও আবেগীয় প্রতিক্রিয়া যা কিনা মাংস...

ভিডিও গেম আসক্তি, যা গেমিং ডিসঅর্ডার বা ইন্টারনেট গেমিং ডিসঅর্ডার হিসাবেও পরিচিত। সাধারণত ভিডিও গ...

What is parapsychology?
Parapsychology is the scientific study of interact...

Eight most important parenting tips those I believe every parent should consider

অনেকেই স্বভাবগতভাবে খুঁতখুঁতে প্রকৃতির। খাবার আগে থালাটা একবার পরিস্কার করে সন্তুষ্ট হন না অনেকে,...

Selective mutism is a rare childhood anxiety disorder in which a child is unable to speak in cert...

প্যানিক অ্যাটাক হলো এমন একটি রোগ যার কারণে একজন মানুষ হঠাৎ অতিরিক্ত উদ্বেগ এবং ভয় অনুভব করে। এসম...

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো আবেগ। আবেগ মানুষের সহজাত একটি প্রবৃত্ত...

Screen Addiction is when screen use becomes so compulsive that it leads to impai...

Communication disorders affect a person's ability to communicate, causing pr...

Self-Esteem কি?
Self-esteem কথাটির অর্থ খুজতে গেলে বাংলা শাব্দিক অর্থ হিসেবে ...

কী এই ওথেলো সিনড্রোম?
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অন্যতম ট্র্যাজেডি ‘ওথেলো&...

১। আপনার স্ট্রেস ট্র্যাক করুন. কোন পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করে এবং আপনি কীভাবে সেগুলোত...

What is Psychological First Aid?
Psychological First Aid (PFA)

সিজোফ্রেনিয়া (ইংরেজি: Schizophrenia) একটি মানসিক ব্যাধি; এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চ...

Sleep paralysis is a feeling of being conscious but unable to move. It occurs when a person passe...

Yes. Childhood depression is different from the normal "blues" and everyday emotions th...

Crisis intervention
Crisis intervention refers to the methods used to offe...

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু-কিশোরদের মধ্য...

Moner Jotno