বর্তমান সময়ে খুব প্রচলিত একটি শব্দ বুলিং। যেটা কিনা হরহামেশাই ঘটছে কর্মক্ষেত্রে অথবা স্কুলে কিংবা পাড়ার প্রতিবেশি, দোকান অথবা খেলার মাঠে। কাউকে জোরপূর্বক বাজে কথা, আচরণ দিয়ে বা পছন্দের কোন জিনিস নষ্ট করে কষ্ট দেয়াকে বুলিং বলে।
একটু খেয়াল করলে দেখা যায় যে এই বুলিং ৪ ধরনের হয়ে থাকে
১. বাজে কথা বলে বুলিং করা - বাজে ভাষা, বিভিন্ন বাজে নামকরণ করা ইত্যাদি।
২. সামাজিক বুলিং- সামাজিক ভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাউকে হেয় করা।
৩. সাইবার বুলিং- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য, গোপন ভিডিও বা পোস্ট দিয়ে হেনস্তা করা।
৪. শারীরিক ভাবে বুলিং করা- শারিরীক আগাত দিয়ে কষ্ট দেয়া।
কিভাবে বুলিং এর ফলে খারাপ পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন-
১. প্রথম কাজ হবে আপনার উর্ধতন কারো কাছে রিপোর্ট করা।
২. খারাপ লাগা দূর করার জন্য নিজের কাছের মানুষের কাছে শেয়ার করা।
৩. বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে দোষারপ না করে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। এবং তার খারাপ লাগাটা বিবেচনা করা।
৪. যে পথ দিয়ে গেলে বুলিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে সে রাস্তা এড়য়ে চলা।
৫. নিজেক ভালোবাসা- অনেক সময় বিভিন্ন শারিরীক বিষয় গুলো নিয়ে মানুষ বুলিং এর সম্মুখীন হয়, যেমন- কালো, বেটে, টাক বলে হেনস্তা করা হয়। এই ক্ষেত্রে যে বুলি করছে তার চোখে চোখ রেখে বলা যে এটা খুব স্বাভাবিক যে আমি এমন এবং এটাকেই আমি ভালোবাসি।
৬. সাইবার বুলিং এর ক্ষেত্রে আইনের সহায়তা নেয়া।
৭. প্রয়োজনে একজন মনোবিজ্ঞানী বা প্রফেশনালের সাহায্য নেয়া।