Device Addiction
Device Addiction

করোনা আসলে আমাদের জীবন টার একটা মারাত্মক ছন্দ পতন ঘটিয়েছে!

মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই জীবনে বাক নেয়া পছন্দ করে নাহ! গবেষণায় দেখা গেছে এখনো মানুষ করোনার সময়ে গড়ে ওঠা অভ্যাস, সেই পরিবর্তন কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে! বড়দের তো সমস্যা হচ্ছেই শিশুরাও তার ব্যতিক্রম নয়!

আমরা ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করি শিশুদের একটা নিয়ম কানুন এর মধ্যে বড় করতে! আর তার শুরু টাই হয় স্কুলিং দিয়ে! করোনার সেই দীর্ঘ সময় টাতে সেই নিয়ম শৃংখলা যেনো অন্যদিকে মোড় নিয়েছে! যা সাড়িয়ে উঠতে এখন শিশুদের সাথে তাদের বাবা-মা ও কষ্ট করছেন!

সেই সময় টাতে শিশুদের দিনের একটা বড় সময় কেটে গেছে ডিভাইসের মধ্য দিয়ে! অনলাইন ক্লাসের জন্য আসলে ডিভাইসের কোনো বিকল্প ছিলো না! সেই যে মোবাইল ফোন, ট্যাবের প্রতি একটা আসক্তি তা এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয় নি!

যার ফলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন জীবন সহ পড়ালেখা সব ই ব্যাহত হচ্ছে!

এই ডিভাইস আসক্তি কিভাবে গঠনমূলক উপায়ে কমানো যায় তা জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পোস্টে!

 

পার্ট-২

কথা হচ্ছিলো কিভাবে আসলে ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনা যায় তা নিয়ে। দীর্ঘদিনের স্বভাব বদলানো কিন্তু সহজ না। সেক্ষেত্রে একেবারে যদি আপনি ডিভাইস সরিয়ে নেবার চেষ্টা করেন সেটাও কাজ করবে না। দেখা যেতে পারে আপনি মোবাইল না দিলে বাচ্চা এগ্রেসিভ বিহেভিয়ার করছে। হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছে, কান্না-কাটি করা ইত্যাদি। অনেকেই এমন সিচুয়েশেনে খুব বিরক্ত হয়ে বাচ্চার গায়ে হাত তুলেন। সেটা একদম ই সঠিক সমাধান না।

গঠনমূলক উপায়ে বাচ্চার স্ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনতে হবে। কি করা যায় তাহলে?

  ১। সময় ভাগ করে দিন। বলতে পারেন, তুমি যদি ২ ঘন্টা পড়ো তাহলে এরপরে মোবাইল পাবা। এতে পড়াশোনাও হলো আবার তার ইচ্ছাটাও পূরণ হলো।

২। তাকে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন নাহ। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল দেয়ার কথা থাকলে সেটাই করবেন। তাহলে তার নির্দিষ্ট বিহেভিয়ার বাড়ার সম্ভাবনা হবে। না হলে বাচ্চা আর কখনো আপনাকে বিশ্বাস করবে নাহ।

৩। তাকে ধমক না দিয়ে, গায়ে হাত না তুলে তার সাথে ফ্রেন্ডলি ওয়েতে কথা বলুন। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়দের সাথে তাদের মত করে কথা বলতে হবে। জানতে হবে তারা ফোনের মধ্যে কি পাচ্ছে যা হয়তো আপনি দিতে পারছেন না।

৪। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় তার সাথে কাটান। হতে পারে সেটা খাবারের টেবিলে। খেতে খেতে জেনে নিন, তার স্কুল-কলেজের কথা। ফ্রেন্ডদের কথা। তার পছন্দের সময়ের কথা অথবা মজার কোনো জিনিস যা আজকে হয়েছে।

৫। সপ্তাহে একদিন সবাই মিলে ঘুরতে যেতে পারেন।

সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিলে অনেকাংশেই স্ক্রিন টাইমিং কমিয়ে আনা সম্ভব। সব সময় বাবা-মা এর জায়গা থেকে না বন্ধুর যায়গা থেকেও সন্তান লালন-পালন করা যায়। সন্তানের একটা নিজস্ব পৃথিবী আছে। সেই ছোট্ট দুনিয়াতে নিজেকে তার সব থেকে কাছের মানুষ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। তবেই আপনার সন্তান সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে।

Moner Jotno