পেরেন্টিং স্টাইল
পেরেন্টিং স্টাইল

একজন সন্তান জন্মদানের পর বাবা-মা যেভাবে তার বাচ্চা কে বড় করে তুলেন তাকে বলা হয় প্যারেন্টিং। আর এই পেরেন্টিং এর কিন্তু বিভিন্ন ধরনের স্টাইল আছে যা ফলো করে বাবা-মা রা। শুনে থাকবেন সব সময় মানুষ বলে যে বাবা -মায়ের মধ্যে একজন কে নরম হতে হয় আর একজন কে শক্ত হতে হয়। দুই জন ই যদি শক্ত আচরন করে বাচ্চার সাথে তাহলে সেটা বাচ্চার জন্য কষ্টকর। এটাও এক ধরনের স্টাইল।

প্যারেন্টিং এর অনেক গুলো ধরন আছে। যেমনঃ

 

১। অথোরিটিরিয়ান প্যারেন্টিংঃ  আমি যা বলেছি আমার বাচ্চা তাই করবে। আমি এখন বলেছি খেলা যাবে না বই নিয়ে বসতে হবে তার মানে তাই ই করতে হবে। মোট কথা, আমার কথা মত চলতে হবে।

২। অথোরিটেটিভ প্যারেন্টিংঃ  আমি আমার বাচ্চা কে বলেছি খেলা বন্ধ করে দিতে কিন্ত সে বলছে আর ৫ মিনিট। আমি বললাম ঠিক আছে ৫ মিনিট পর পড়তে বসতে। তার মানে হলো আমি রুলস তৈরি করে দিলাম আবার এক ই সাথে আমার বাচ্চার ইমোশন টাও খেয়াল করলাম।

৩। ওভার-প্রোটেকটিভ প্যারেন্টিংঃ  আমার বাচ্চা ক্লাস ১০ এ পড়ে কিন্তু এখনো নিজের হাত দিয়ে ভাত খেতে পারে না, আমি খাওয়ায় দেই। আমার বাচ্চা কখনো নিজের কাপড় ভাঁজ করতে পারে না। আমি ই করে দেই। রাতে একা ঘুমাতে পারে না, আমি ই নিয়ে ঘুমাই। আমার তো একটাই বাচ্চা একটু বেশি আদর করি আর কি। তার মানে যে বয়সে তার যে কাজ করার কথা সেটা সে পারে না, আপনি তাকে করতে দিচ্ছেন না, আদরের নাম করে আপনি তাকে সাবলম্বী হতে দিচ্ছেন না।

৪। আন-ইনভল্ভ প্যারেন্টিংঃ বাচ্চাকে বাচ্চার মত ছেড়ে দিছি, যা ইচ্ছা করুক। সময় মতো সব কিছু শিখে নিবে। আপনি তার ইমোশোনাল নিড এর ব্যাপারে খোঁজ নেন না। তার কি প্রয়োজন তার হয়তো খোঁজ নিচ্ছেন না ।

একেকটা  স্টাইলের বাচ্চার মানসিক অবস্থার উপর একেক  রকম প্রভাব পরে।  এবার ভেবে দেখেন আপনি কোনটা আপনার সন্তানের জন্য ফলো করেন এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না।

Moner Jotno