ফোনে সময় কম ব্যায় করার উপায়
ফোনে সময় কম ব্যায় করার উপায়

মোবাইল ফোন আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি আবার প্রয়োজন ছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যবহার করছি। একটা সময় ছিলো যখন কথা বলা এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর কাজ ছাড়া মোবাইল আর অন্য কোন কারনে তেমন একটা ব্যবহার হতো না। কিন্ত বর্তমানে ইন্টারনেট এর সুবাদে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সুবাদে মোবাইলের নানাবিধ ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের জীবনে। কথা বলা, গান শোন থেকে শুরু করে মোবাইলের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ২০১৪ সালে কিছু গবেষনায় দেখা যায় মাত্র ১২% লোক এসমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে ৭০% এর অধিক লোক এখন এই সুবিধা গুলো ব্যবহার করছে। কিন্তু এই সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু অসুবিধাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে সামাজিক, পারিবারিক, পেশাগত, কর্মক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে। তাই মোবাইল ব্যবহার এর সময় কিভাবে কমানো যায় চলুন তা দেখে নেয়া যাকঃ

 

১। একটা দৃঢ় সংকল্প করাঃ মোবাইল কম চালানোর অভ্যাস করার পূর্বে প্রথমেই আপনাকে মনে মনে খুব দৃঢ় ভাবে মনস্থির করতে হবে যে আপনি মোবাইল এর ব্যবহার কমাতে চান। এবং এর পরে আপনি প্ল্যান করতে পারেন।

 

২। নির্দিষ্ট সময় নির্ধারন করে নেয়াঃ

আপনি কখন আপনার মুঠোফোন ব্যাবহার করতে পারবেন তাঁর জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারন করে ফেলতে হবে।

 

৩। মুঠোফোন ব্যাবহার কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করুনঃ

যদি কোন নির্দিষ্ট পরিমান না থাকে তাহলে ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। তাই কতোক্ষন ব্যবহার করতে চান সেটা ঠিক করে ফেলুন এবং সে অনু্যায়ী বিভিন্ন অ্যাপ এর টাইমার সেট করে নিন। নির্দিষ্ট সময় পরে ওই অ্যাপ টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

 

৪। দিনের নির্দিষ্ট সময় ফোন ব্যবহার করুনঃ

গাড়ি চালানো, মিটিং করা, ডিনার করা, ও বাচ্চাদের সাথে খেলা করার সময় ফোন এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।

 

৫। প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করাঃ

মুঠোফোন আমরা প্রয়োজনে আবার প্রয়োজন ছাড়াও ব্যবহার করে থাকি। যেমন অতিরিক্ত গান শোনা, সিনেমা দেখা, সামাজিক যোগাযগ মাধ্যমে বুদ হয়ে থাকা ইাত্যাদি। তাই প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখুন এবং বিনদোনের জন্য বাইরে ঘুরতে পারেন, ছোটরা খেলাধুলা করতে পারে।

 

৬। ফোন ব্যবহার এর বিষয় নির্ধারন করে নেওয়াঃ

অধিকাংশ সময় দেখা যায় যে কোন একটা কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে সেটা বাদ দিয়ে অন্য কিছুতে ঢুকে যায়। আবার দেখা যায় যে ৫ মিনিটের জন্য ফোন হাতে নিয়ে কখন যে ঘন্টা পার হয়ে যায় খেয়াল থাকে না। তাই মোবাইল হাতে নেয়ার আগে বার বার নিজেকে মনে মনে সতর্ক করে যে কাজের জন্য ফোন টা নিয়েছেন সেটা শেষ করে দ্রুত বের হয়ে যান।

 

৭। ফোন মুক্ত জোনঃ

নিজের বাসায় ফোন মুক্ত জোন তৈরি করতে পারেন। স্মার্টফোন বা ট্যাব্লেটের ব্যবহার বাড়ির একটি সাধারন জায়গায় সীমাবদ্ধ করতে হবে যেখানে সন্তানের কার্যকলাপের উপর নজর রাখা যায় এবং অনলাইনে সময় সীমিত করা যায়। এর পাশাপাশি কোনভাবেই বিছানায় ফোন বা ট্যাব নিয়ে আসা যাবে না।

Moner Jotno