গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে কোনো কাজের আগে মানুষের যদি মাঝামাঝি রকমের ভয় বা এনক্সাইটি হয় তাহলে পারফরম্যান্স ভালো হয়। কিন্তু যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে পারফরম্যান্স খারাপ হয় ।
পরীক্ষা নিয়ে ভয় পাওয়া অথবা এঞ্জাইটিতে ভুগা খুব ই নরমাল একটা ব্যাপার। কিন্তু সেই ভয় যদি আপনাকে কাবু করে ফেলে, অসুস্থ করে ফেলে তাহলে সেটা চিন্তার বিষয়।
“পরীক্ষায় কি প্রশ্ন আসবে ? আমি পারবো কি না, আমি খারাপ করলে সবাই কি ভাব্বে, আমি কাজ টা ঠিক ভাবে করতে পারবো তো? বাবা-মায়ের অনেক আশা-ভরসা আমার উপর, সবার মান-সম্মান নষ্ট হবে।”
এই যে প্রশ্নগুলো একটার পর একটা নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দেয় মনের ভিতর। যা ব্যক্তিকে অস্থির করে তুলে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শুধু মাত্র পরীক্ষাই না, যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই এই রকম পারফরম্যান্স এঞ্জাইটি হতে পারে। অফিসে বসের দেয়া কোনো কাজ, প্রেজেন্টেশন এইসব ক্ষেত্রেই এই ধরনের এঞ্জাইটি দেখা যেতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল ফ্যামিলিতে বাবা-মা যদি বাচ্চার কাছ থেকে অনেক বেশি এক্সপেকটেশন রাখেন তখন বাচ্চার মধ্যে এই ধরনের এঞ্জাইটি তৈরি হয় যা পরবর্তীতে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই এই এঞ্জাইটি দেখা যায়।
এঞ্জাইটি দূর করার জন্য ব্রিদিং রিল্যাক্সাশন ভালো কাজ করে। নিজের নেতিবাচক চিন্তা গুলো নিয়ে কাজ করতে খুব দ্রুতই এই এঞ্জাইটি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ পাবার জন্য সাইকোথেরাপি এবং মেডিকেশন বেশ ভালো কাজ করে।