স্ট্রেস ফ্রি থাকা বনাম স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট দুটো ভিন্ন বিষয়। স্ট্রেস ফ্রি থাকা মানে আপনার কোন চাপ থাকবে না, পড়া থাকবে না, যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবো, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াবো ইত্যাদি। কিন্তু এই স্ট্রেস ফ্রি থাকার কোন সার্থকতা নেয়। তাই আমরা বলি যে কিছুটা চাপ থাকা আপনার জন্য ভালো। অনেকে বলে থাকেন আরে “এটা কোন ব্যাপার না”। আবার আরেক দল আছেন যারা কোন কিছু করার আগেই ভয় পেয়ে যান এবং চাপে পড়েন “আমার দ্বারা এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়”।
একেবারে চাপহীন থাকা যেমন ভালো না তেমনি অতিরিক্ত চাপ থাকলেও সমস্যা। তবে সামান্য পরিমানে চাপ আপনার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে।
মানসিক চাপ তৈরী হয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার আগে। যখন আপনার চাহিদা এবং সামার্থ্য এই দুটো বিষয়ের মধ্যে অসঙ্গতি থাকে তখন মানসিক চাপ তৈরী হয়। অর্থাৎ, যখন আপনার চাহিদা বেশি থাকবে এবং সামার্থ্য কম থাকবে তখনিই মানসিক চাপ তৈরি হয়।
এখন এই চাপ তাহলে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় বা চাপের পরিমান সীমিত রেখে বেশি দক্ষ হওয়া যায়ঃ
১। প্রতিদিনের কাজ গুলো আগের দিন গুছিয়ে রাখা যে আপনি কি কি করতে চান আগামিকাল।
২। এমন কোন লক্ষ্য নির্ধারন না করা যেটা অর্জন করা আপনার পক্ষে সম্ভব না।
৩। লক্ষ্য যদি বড় হয় তবে আগে নিজের রিসোর্স বাড়াতে হবে।
৪। সারাদিনের পড়া বা কাজের মধ্যেও একান্তই নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখা।
৫। খুব বেশি অসুবিধা হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ম করা।
৬। সময় পেলে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে খেলাধুলা অথবা বায়ম করা যেটা আপনার মস্তিষ্কে একধরনের হরমোন নিঃসরনের মাধ্যমে আপনাকে হালকা করবে।
৭। যে বিষয়গুলো আপনার জন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণ সে বিষয় গুলো সম্পর্কে পূর্বেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।
৮। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার না করা।