ভাল ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করা
ভাল ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করা

সুস্থ এবং পরিমিত ঘুম লাভের জন্য একটি বিধি অনুশীলন করা প্রয়োজন। যা যা করতে পারেনঃ

  • আপনার শোবার ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল রাখুন।একটি আরামদায়ক গদি এবং বালিশ ব্যবহার করুন।
  • আপনার ঘুমের সময়সূচী পছন্দমত তৈরি করুন। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। রাতে দেরি না করে দ্রুত ঘুমিয়ে ভোর বেলা উঠার অভ্যাস করুন।
  • এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও একটি এই রুটিন টি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। অথবা এর সাথে মিল রেখে অন্য একটি রুটিন তৈরি করুন।
  • দিনের বেলা ন্যাপিং এড়িয়ে চলুন।
  • ঘুমানোর আগে চা/কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
  • নীল আলোর কারণে শোওয়ার আগে স্ক্রিনগুলির (ফোন, কম্পিউটার, টিভি) ব্যবহার কমাতে হবে। কারন এতে ঘুম দেরিতে আসে। ধরুন, আপনি ঘুমাতে যান ১১ টায়।ফোন চালিয়ে বেজে যায় ১২-১ টা। আবার সকালে উঠে অফিস। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াতে সারাদিনের কাজের উপর চরম প্রভাব ফেলে, কাজের মান এর অবনতি হয়। তাই বিছানায় যাবার আগেই ফোন চালানো, টিভি দেখা, ল্যাপটপ এ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এলারম দেয়ার জন্য একটি ঘড়ি ব্যবহার করতে পারেন এবং ঘুমানোর আগে ফোনটা একটু দূরে রেখে ঘুমাতে যাবেন।
  •  একটু বই পড়ার মাধ্যমে ঘুমের আগে নিজের ব্রেইনকে শান্ত করতে পারেন। হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে যা ঘুম আনার সহায়ক। যেমনঃ ব্রিদিং রিলেক্সেশন করতে পারেন। ব্রিদিং রিল্যাক্সেশন কিভাবে করবেন তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। প্র্যাক্টিস করতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ রিলাক্সেশন (monerjotno.net)
  • এখন একটু হলেও হয়তো শান্তি লাগতেছে তাই না?
  • এখন শুয়ে শুয়ে নিজেকে কিছু “এফারম্যাটিভ স্টেটমেন্ট” অথবা ইতিবাচক বাক্য বলুন। যেমন, আজকে আপনি কোন কাজটি ভালো করেছেন, আপনার কোন কাজ টি হয়তো অনেক দিন ধরে পেন্ডিং ছিলো কিন্ত আজকে আপনি শেষ করতে পেরেছেন ইত্যাদি। নিজের কাজ নিজে এপ্রিসিয়েট করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজেকে এপ্রিশিয়েট করুন। নিজের ভালো দিক গুলো ভাবুন।
  • প্র্যাকটিস করা শেষ হলে শুয়ে পড়ুন।
  • কখনো রিলেক্সেশন না করে  মাইন্ডফুলনেস Mindfulness (monerjotno.net) প্র্যাকটিস করতে পারেন। এখানে প্রতিটা স্টেপ অনুসরণ করে মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস করতে পারবেন।

 

  • এভাবে নিজের মন টা ভালো করে শুতে গেলে ঘুম টাও ভালো হবে।
Moner Jotno