শারিরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ছোট পরিবার এবং যান্ত্রিকতার যুগে এই সমস্যা আরো বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়ে অনেক ভুল ধারনা প্রচলিত রয়েছে। যার জন্য মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে।
যেসব ভুল ধারনা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে,
১। মানসিক আসুস্থতা আসলে বাস্তব না।
৩। শিশুদের মানসিক রোগ হয় না।
৪। মানসিক সমস্যা ভালো হয়।
৫। পাপের কারনে মানসিক রোগ হয়।
৬। মানসিক রোগীরা আগ্রাসী আচরণ করে।
৭। জ্বীনের আসরের কারনে মানসিক অসুবিধা হয়।
উপরোক্ত সব বিষয়গুলো আসলে ভুল ধারনা। এই ভুল ধারনা গুলো থেকে বের হয়ে এসে আমাদের উচিৎ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনে প্রফেশনালদের সাহায্য গ্রহণ করা। কারণ, ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেসনের মতে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লক্ষ মানুষ মারা যায় মানসিক সমস্যা জনিত কারনে। যা প্রতি বছর গর মৃত্যুর ১৪.৩ শতাংশ। এবং আরো জানা যাউ যে প্রতি ৪ জনে ১ জন মানুষ জীবনের কোন একসময়ে মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ তো গেলো বিশ্ব পরিস্থিতি, আমার দেশের অবস্থাও খুব শোচনীয় বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯–এর তথ্য অনুযায়ী ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিশুদের ১৪ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানসিক রোগে ভুগছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিষণ্নতা রোগে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উদ্বিগ্নতা রোগে ভুগছেন ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
কিভাবে বুঝবেন যে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার প্রয়োজনঃ
যেহেতু বলেছি এ প্রতি ৪ জনে ১ জন মানুষ জীবনের কোন না কোন একসময়ে মানসিক অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যায়। তাই আপনারও এই সেবা নিতে হতে পারে এবং এটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম, সামাজিক জীবন, পেশাগত জায়গা, যদি ব্যাহত হয় এবং কোন ভাবেই আপনি নিজে থেকে ম্যানেজ করতে না পারেন তাহলে মানসিক স্বাথ্য সেবা গ্রহন করা প্রয়োজন।