রাগের বর্শবর্তী হয়ে কারো বা নিজের ক্ষতি করে ফেলা বিরত্ব নয়, বরং কঠিন রাগের সময় নিজেক নিয়ন্ত্রন করতে পারা এবং দমন করতে পারাই বিরত্ব। দুঃখ, ভালোবাসা,ও আনন্দের মতো রাগও একটি স্বাভাবিক আবেগ। কিন্তু এর বহিঃপ্রকাশ যখন সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য হয় না তখন বলা হয়ে থাকে রাগ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। রাগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না বরং রাগ হবে এটি স্বাভাবিক। আপনার মুঠোফোনের কিছু সিস্টেম অ্যাপ আছে যেগুলো আপনি চাইলেও বাদ দিতে পরবেন না। রাগ ব্যক্তির ৪ টি মৌলিক আবেগের একটি। তাই চাইলেও কেউ তাঁর জীবন থেকে রাগ কে বাদ দিতে পারবে না। তাহলে? যেটা আমরা করে থাকি সেটা হলো নিয়ন্ত্রন। অর্থাৎ রাগের বহিঃপ্রকাশ কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে বা রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি আমরা। রাগের কারনে আমাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়, আমাদের পেশাগত, সামাজিক, পারিবারিক জীবন আক্রান্ত হয়। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়্যে থাকে। অনেক সময় সুন্দর সম্পর্ক গুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা সবাই চাই আমাদের রাগ কে নিয়ন্ত্রন করতে। চলুন জেনে নেয়া যাক আপনি কিভাবে আপনার রাগ কে নিয়ন্ত্রন করে জীবন কে আরো সুন্দর করতে পারি?
১। রাগ হলে প্রথম কাজটাই হলো রাগের স্থান ত্যাগ করা। অন্য কোথাও যাওয়া। এটা আপনার রাগকে বাড়তে না দিয়ে প্রশমিত করবে।
২। লম্ব শ্বাস গ্রহন করে কিছুক্ষন আটকে রেখে ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়া। এটা কয়েক বার করা।
৩। রাগ কিছুটা প্রশমিত হলে রাগের ঘটনা টি পুনঃবিবেচনা করা এবং ইতিবাচক চিন্তা করা।
৪। ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করা। তাহলে রাগ অনেকটাই কমে যায়।
৫। আপনি নিজের সম্পর্কে ভালো জানেন তাই কোন বিষয় বা ঘটনা গুলোতে আপনার রাগ হয় সেই বিষয় বা ঘটনা আগে থেকেই এড়িয়ে চলা যাতে রাগ তৈরিই না হয়।
৬। অনেক বেশি রাগ হচ্ছে কোন কিছু কাজ করছে না, বাসায় আইস কিউব থাকলে সেটা হাতের তালুতে কিছুক্ষন ধরে রাখা এবং হাত বদল করতে থাকা রাগ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত। যদি আইস কিউব না থকলে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেয়া অথবা, মরিচের গুড়া খেয়ে ফেলা। তবে অবশ্যই নিজের শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে করতে হবে।