কিভাবে হাশিখুশি থাকা যায়?
কিভাবে হাশিখুশি থাকা যায়?

মানুষের প্রতিটি কাজকে যদি বিশ্লেষন করা যায় তাহলে দেখা যাবে আমরা সবকিছু করে থাকি নিজেকে হাসিখুশি রাখার জন্য বা ভালো থাকার জন্য। কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি এই কাজটি কেন করছেন তাহলে উত্তর আসবে আমার ভালো লাগে তাই। এই ভালোলাগার মানে হলো আমি খুশি থাকতে চাই। তাহলে প্রশ্ন হলো কিভাবে হাসিখুশি থাকে যায়?

 

১।হাসিখুশি থাকার প্র্যাক্টিস করা।

সবসময় কি হাসিখুশি থাকা যায়? উত্তর যদি না হয় তাহলে আপনার হাসিখুশি থাকার জন্য বেশি করে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। আপনি শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ম করতে পারেন। একটি কঠিন কাজ করার পর নিজের আনন্দের জন্য কিছু সময় হাঁটতে পারেন। এমনভাবে হাঁটার পর আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশিতে পরবর্তী কাজটি শুরু করতে পারবেন।

 

২। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করা

আমরা প্রতিনিয়ত একটা কাজ করি, নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করতে থাকি। যে অন্যরা আমার চেয়ে কতোখানি ভালো কাজ করে। এবং নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারি না। ফলে আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। এর ফলে সবসময় চিন্তার মধ্যে কাটে এবং আমাদের মুখের হাসিভাব উধাও হয়ে যায়। তাই নিজের কাজকে শ্রদ্ধা করুন। নিজের কাজের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকুন। এবং প্রয়োজনে নিজেকে বা নিজের কাজকে অন্যের সাথে নয় নিজের সাথে তুলনা করুন। আজকের চেয়ে আগামিকাল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

৩। ইতিবাচক চিন্তা করা

আমাদের খারাপ থাকার পেছনে মূল যে কারণ তা হলো আমাদের নেতিবাচক চিন্তা। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করতে থাকলে আপনি ধ্বংস হয়ে যেতে বাধ্য। আর তাই নিজেকে ভালো রাখতে ইতিবাচক চিন্তা করুন।

 

৪। ক্রেডিট লিস্ট লিখা

আমরা নিজের সম্পর্কে দিন শেষে একটা ক্রেডিট লিস্ট লিখার অভ্যাস করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি সারাদিন যে ভালো কাজ গুলো করেছেন সে কাজগুলো লিখে ফেলা এবং নিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। লেখাগুলো পাঠ করে নিজের মধ্যে সুখ অনুভব করবেন। দেখবেন হাসিখুশি থাকতে পারছেন।

 

৫। নিজের মধ্যে সুখ খোঁজা/ নিজেকে ভালোবাসা

আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে। যে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বা আপনি যে কাজগুলো করে আনন্দ পান—এমন কাজগুলোই বেশি করুন এবং নিজের মধ্যে সুখ খুঁজে বের করুন। সব সময় অফিস বা অন্যের সুখের জন্য কাজ না করে, নিজের পছন্দের কাজটিও মাঝেমধ্যে করার চেষ্টা করুন। দেখবেন হাসিখুশি থাকতে পারছেন।

 

৬। পরিপূর্ন ঘুমান

বলা হয়ে থাকে যে ঘুম একটি বড় নিয়ামত। শারিরীকভাবে সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। আর শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না। তাই পর্যাপ্ত বা পরিপূর্ণ ঘুমান একটা রুটিন তৈরী করে ফেলুন নিজের ঘুমের এবং অভ্যাস করে ফেলুন। রাতে আগে ঘুমতে যান এবং সকালে আগে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। এতে করে মন প্রফুল্ল থাকবে।

 

৭। ক্ষমা করে দেয়ার অভ্যাস করা

রাগ, দুঃখ এই আবেগ গুলো খুশি থাকার মতো খুবই সহজাত আবেগ। তাই কারো ওপর রাগ হলে বা কারো থেকে দুঃখ পেলে আপনি খুশি থাকতে পারবেন না। কিন্তু ক্ষমা করে দিতে পারলে সেই ঘটনার প্রতি আপনার একধরনের ইতিবাচক মনোভাব তৈরী হবে যা আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে এবং আপনি হাসিখুশি থাকতে পারবেন।

 

৮। অন্যকে সাহায্য করা

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ অন্যকে সাহায্য করার মধ্যে। আপনার বন্ধু বা পাশের ডেস্কের সহকর্মীকে সাহায্য করুন। দেখবেন তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো হবে। রাস্তায় অসহায় কাউকে কিংবা কোনো রাস্তা খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। দেখবেন সাহায্য করার পর নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছে। অন্যকে সাহায্য করলে দেখবেন মুখের মধ্যে হাসির আভা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রতিদিন অন্যদের সাহায্য করার জন্য একটু সময় বের করুন।

 

৯। নিজের স্ট্রেন্থ বা দক্ষতা খুঁজে বের করা

আপনার শক্তির জায়গা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা আছে? যদি না থাকে, তাহলে নিজের শক্তির জায়গা খুঁজে বের করুন এবং সে শক্তিকে ব্যবহার করুন। দেখবেন সবকিছুতেই ভালো করছেন আপনি। সব কাজে সাফল্য পাওয়ার ফলে আপনি থাকতে পারছেন আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশি।

Moner Jotno